ক্রান্তিকালের ক্লান্তি সারাতে। জীবনচলার পথে প্রতিটি মানুষের জীবনে আসে কিছু পরিবর্তন,কিছু রূপান্তর। যার মাঝে কিছু ঘটনা থাকে আমাদের প্রত্যাশিত,কিছু অপ্রত্যাশিত,কিছু ইতিবাচক,কিছু নেতিবাচক। যেমন:বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া,উচ্চশিক্ষালাভ করা, লটারী জেতা,সন্তান জন্মদান,চাকুরী প্রাপ্তি,পদোন্নতি ইত্যাদি ইতিবাচক ঘটনা। পক্ষান্তরে, যে কোনো প্রকার সম্পর্কচ্ছ্দে,আপনজনের মৃত্যু,চাকুরীচ্যুতি দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হওয়া,দুর্ঘটনায় অঙ্গহানি হওয়া ইত্যাদি নেতিবাচক ঘটনা; যা কারোই কাম্য নয়। আবার কিছু পরিবর্তন আছে,যা ধাপে ধাপে হয়,যা অবধারিত। যেমন; শৈশব থেকে কৈশোর, তারপর যৌবন,তারপর প্রৌঢ়তা এবং সবশেষে বৃদ্ধকাল, এই প্রতিটি ধাপের নির্দিষ্ট কিছু চাহিদা রয়েছে,রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু কাজ। এই ধাপগুলোর একটি থেকে আরেকটিতে পদার্পনকালে আমরা নতুন…
পরের অংশসঠিক খাবারে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সিয়াম পালনের গুরুত্বপূর্ণ টিপস
সঠিক খাবারে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে সিয়াম পালনের গুরুত্বপূর্ণ টিপস। সংযম আর সাধনার এক অপূর্ব সমন্বয় পবিত্র মাহে রমজান আসন্ন। পবিত্র রমজান মাসে আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের বেশকিছু পরিবর্তন ঘটে। দৃশ্যমান পরিবর্তন হয় খাবারের ক্ষেত্রে। প্রকৃতপক্ষে রমজানে আমাদের খাদ্যাভ্যাস হওয়া উচিত খুবই সাধারন এবং আমাদের প্রাত্যহিক খাদ্যাভ্যাসের সাথে এটির খুব একটা পার্থক্য থাকা উচিত নয়। রমজানেও কিন্তু আমরা তিন বেলাই খাচ্ছি। আমরা যদি এভাবে ভাবি যে সেহরি আমাদের সকালের প্রাতঃরাশ, ইফতারি হল সন্ধ্যার নাস্তা এবং সাথে রাতের খাবার তো থাকছেই। রমজানে সাধারনত যেটা হয় তা হল আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালরি…
পরের অংশ“মা তোমাকে ভালোবাসি” বললে কি ‘আদিখ্যেতা” হয়ে যাবে!!!
সবার মাকে নিয়ে বলা কথা ছবি দেখতে কি যে ভালো লাগছে…. অনেকে আবার এতো ‘মা… মা’ ব্যাপার আদিখ্যেতা মনে করছেন দেখলাম। রীতিটা এ দেশীয় নয় বুৎপত্তিগতভাবে,যে দেশীয় সেখানে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ওখানে ঘরে শিশু হাস্পাতাল থেকে ঢুকেই দোলনায় আলাদা থাকে আর বাকি জীবনটাও তাই,কাজেই কাছাকাছি আসার জন্য ওদের অনেক উপলক্ষ দরকার। আমার কাছে শিশুর মানসিকভাবে সাবলম্বী হবার জন্য আলাদা করে দেয়াটা পজিটিভ লাগে,তবে অত ছোটবেলা থেকে নয়। শিশু বয়স থেকে চিন্তাচেতনায় ধীরেধীরে স্বাধীনতা দিয়ে,তারপর একা থাকতে দেয়ার অভ্যাস জরুরী বলেই আমি মনে করি। আমাদের দেশীয় মানুষেরা আমরা ইমোশনাল ভাবে একটু…
পরের অংশRIP বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা
RIP বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা। _______________________________ সুইসাইড নোট লিখেও ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলল পর্শিয়া। এই নিয়ে এগারোবার করল এই কাজটা। সুইসাইড কিভাবে করবে তার প্ল্যান পর্যন্ত ছকে লিখে ফেলেছে তিন মাস আগে। তার পছন্দ হচ্ছে— ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমের মধ্যেই এই নরকসম পৃথিবীকে টাটা বাই বাই বলা। সুইসাইড নোটটা লিখবে এনাটমীর ডিপার্টমেন্টাল হেড স্যার আর A ব্যাচের ব্যাচ টিচার ম্যাম আর তার দুই রুমমেটের কাছে। যে মানুষগুলো জন্য গত দুটো বছর ধরে এনাটমীতে সাপ্লি খেয়ে যাচ্ছে সে সমানে। অথচ সে যাদেরকে হার্ডপার্ট সফর্ট পার্ট ডেমো দেয় সবাই পাশ করে…
পরের অংশআত্মহত্যা কোন ও সমাধান নয়
আত্মহত্যা কোন ও সমাধান নয়। আত্মহত্যা কোনও সমাধান নয়, আত্মহত্যা কোনভাবেই কোন সমস্যার সমাধান করতে পারেনা। আত্মহত্যা হল জীবন থেকে পলায়নের সহজ পন্থা,ভীরু, কাপুরুষ আর জীবন যুদ্ধে পরাজয় মেনে নেয় যারা তারাই আত্মহত্যা করে।কিন্তু কেন এই পরাজয় মেনে নেয়া?আপনি নিজেই তো নিজের ভাগ্য নিয়ন্তা নন। আপনার জীবনে খারাপ সময় আসবে, আবার ভাল সময়ও আসবে। খারাপ সময়টা ধৈর্য্যের সাথে মোকাবিলা করতে হয়। সবার জীবনেই খারাপ সময় আসে,খারাপ সময় চিরস্থায়ী নয়,খারাপ সময় এক সময় চলেও যায়, তখন আসে সুসময়। খারাপ সময়ে হতাশ হয়ে পরলে চলবেনা,সবকিছু শেষ হয়ে গেছে ভেবে বসলে…
পরের অংশস্বেচ্ছা মৃত্যুর সুযোগ বাংলাদেশে ও চাই
স্বেচ্ছা মৃত্যুর সুযোগ বাংলাদেশেও চাই অস্ট্রেলীয়ার ১০৪ বছর বয়সী বিজ্ঞানী ডেভিড গুডাল গতকাল সুইজারল্যান্ড এর লাইফ সার্কেল হাসপাতালে কষ্ট বিহীন ইনজেকশনে স্বেচ্ছা মৃত্যু বরন করেন। আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন “আমার সামর্থ্য দিন দিন কমে আসছে, আমি সৌভাগ্যবান যে আমার শান্তি পূর্ন জীবনাবসান হচ্ছে আগামীকাল”। এই সফল,সুখী, প্রকৃতি প্রেমিক বিজ্ঞানী স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরনের সিদ্ধান্ত কি আপনাদের অবাক করে? এটা কি অনুমোদন যোগ্য? একজন সাইকিয়াট্রিস্ট হিসেবে কি আমি এমনটি সমর্থন করতে পারি? এরকম শত প্রশ্ন অনেকের মনে জাগতে পারে। আত্মহত্যা প্রতিরোধে আমরা সাইকিয়াট্রিস্টরা এবং আমি নিজেও প্রচুর লেখালিখি করছি। তবে মানসিক…
পরের অংশজরায়ু মুখ ক্যান্সারঃ ভয়াবহতা ও বাস্তবতা
জরায়ু মুখ ক্যান্সারঃ ভয়াবহতা ও বাস্তবতা। অথবা মায়ের জন্য পদযাত্রা। ………………………………………………………… রোগী কথন কেউ পড়ুক আর না পড়ুক আমি আমার দায়বদ্ধতা থেকে লিখি। লিখতেই থাকব। আরেকটি কথা, আমার এ লেখার উদ্দেশ্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে কাউকে পারদর্শী করে তোলা নয়। সেটার জন্য বই আছে, নির্দিষ্ট সেক্টর আছে। আমি বরঞ্চ সেইটুকু করতে চাই, যেটুকু জানলে আমরা সচেতন হতে পারব এবং সংশ্লিষ্ট রোগের ভয়াবহতা কিছুটা হলেও কমাতে পারব। জরায়ু মুখ ক্যান্সারঃ ভয়াবহতা ও বাস্তবতা অথবা মায়ের জন্য পদযাত্রা আজকে আমরা কথা বলব জরায়ুমুখ ক্যান্সার নিয়ে। কিছুদিন আগে এ রোগের সচেতনতার জন্য একটি রেলি…
পরের অংশRevenge of Nature
Revenge of nature । Revenge of Nature বলে একটা বিষয় আছে মানব জীবনে। কয়েক বছর আগে আশেপাশের মানুষজন খালি পেইন আর পেরা দিত আমাকে– কারনে অকারনে। এই টেবিলে বসে ঝিমাচ্ছিস কেন ? জোরে পড়। অথচ তখন হয়তো আমি ম্যাথ করছিলাম।ম্যাথ কিভাবে জোরে করা সম্ভব 😉 আজো জানি না। বৃষ্টি হচ্ছে দেখে রান্না করলাম পানি খিচুড়ি আর গরুর মাংস ভুনা। শুনলাম— ভুনা খিচুড়ি আর মাছ ভাজা করা গেল না? অথচ ফ্রিজ খালি আজ এক সপ্তাহ।মাছ কি কাগজ কেটে বানাতাম আমি 😥 ? বাপের টাকায় পড়ছে মেডিকেলে শুনতে শুনতে হাফ জীবন…
পরের অংশপ্রজন্ম গত ব্যবধান কি খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে না !
প্রজন্ম গত ব্যবধান কি খুব বেশি হয়ে যাচ্ছে না ! ইদানিং আমার কিছু বছর আগের কথা খুব মনে পড়ে। খুব বেশি না এই ধরা যাক আজ থেকে ৮-৯ বছর আগের সময়টা। আমিসহ আমার সমসাময়িক জেনারেশনটা সেসময় কেবল টিনএজ বয়সটা শেষ করেছি বা করব। আমাদের সেইসময়টা খুব অদ্ভুত সুন্দর ছিল। এইচএসসি শেষ করেছি মাত্র, ভর্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেইসময়টায় আমাদের চোখে রনবীর কাপুর বা টম ক্রুজ ছিল বুয়েট, মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাতালিকায় থাকা ভাইয়ারা, সোনম, কারিনাদের জায়গায় ছিল এইসব প্রতিষ্ঠানে সগৌরবে জায়গা করে নেয়া আপুরা। আমি এবং আমার আশেপাশের…
পরের অংশপরীক্ষায় প্রথম হতেই হবে
মসজিদে গেলে সেখানে সামাজিক যুদ্ধ চলে কার ছেলে/মেয়ে কত ভালো করছে,কোথায় চান্স পেয়েছে– যখন ক্লাশে ফার্স্ট হতে শুরু করলাম বাবাসহ সবাই বলতে লাগলো অন্য ছেলেরা কম পড়েছে তাই তুমি ফার্স্ট হয়েছো। কাহিনী সংক্ষেপ :রোগীর মা বলেন স্যার দিনাজপুর থেকে এসেছি – বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নিউরোলজিস্ট দ্বীন মোহাম্মদ স্যার আমার সব কথা শুনে তাৎক্ষনিভাবে আপনার ঠিকানা দিয়ে বলেন এখনি ওনার কাছে চলে যান। মা,খালা ও রোগী আজমি যা বললেন : বাবা একটি সরকারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক, মা প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। আজমির বাবা গ্রাম থেকে উঠে আসা ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র। বোর্ডে স্টান্ড করা।দারিদ্র…
পরের অংশ