টেস্টিং সল্ট- সুস্বাদু বিষ
টেস্টিং সল্ট- সুস্বাদু বিষ । মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট । আজকাল প্রক্রিয়া জাত খাবার যেমন-নুডুলস, চিপস্, ফাস্ট ফুড এবং প্রধানত চাইনিজ খাবারে দেদারসে ব্যবহার করা হচ্ছে এটি। টেস্টিং সল্টের আগ্রাসন বিশ্বজুরে এলকোহল ও নিকোটিনের চেয়েও বড় বিপদ ঘটতে পারে।
টেস্টিং সল্টের প্রতিক্রিয়ায় তীব্র মাথা ব্যথা, হজমযন্তে গোলযোগ, উচচ রক্তচাপ, স্ট্রোক, খিচুনি সহ বিভিন্ন রকম সমস্যা এমনকি দীর্ঘমেয়াদি হলে মস্তিষ্কের ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। টেস্টিং সল্ট- সুস্বাদু বিষ, জেনে নিন কেন এটি বিষ ।
টেস্টিং সল্ট শরীরে অক্সিসাইটোটক্সিন হিসেবে কাজ করে। খাবারের সঙ্গে গ্রহণ করলে এটি মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করে যে মনে হয় খাবারটি খুবই সুস্বাদু, যা খাবারের প্রতি আসক্তি বৃদ্ধি করে। স্নায়ুতন্ত্রের ওপর টেস্টিং সল্টের এমন প্রভাব স্নায়ুর ক্ষতি করে। হৃদযন্ত্রের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। দেহের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়
গর্ভবতী মায়েরা খাবারে অতিমাত্রায় টেস্টিং সল্টের ব্যবহার অনাগত সন্তানের অটিজম, মস্তিষ্কের রোগ, বুদ্ধি বৃত্তিক সমস্যা নিয়ে জন্মানোরমতো দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়তে পারে। এছাড়া টাইপ- ২ ডায়াবেটিস হওয়ার অন্যতম কারন এটি। প্রাপ্তবয়স্কদের চেয়ে শিশুদের চারগুন খারাপ প্রভাব ফেলে। প্রায় শিশুদের পছন্দের খাবার চিপস্ এতে ব্যবহার হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত টেস্টিং সল্ট।
না জেনে অভিভাবকরা সন্তানের জন্য মূলত বিষ কিনে দিচ্ছে।
ইদানিং প্রায় সব মানুষ ফাস্টফুড চাইনিজ খাবারের প্রতি ঝুঁকে পরছে এর প্রধান কারন টেস্টিং সল্ট বা স্বাদকারক বা “চাইনিজ রেস্টুরেন্ট সিনড্রোম” ঘরের খাবার খেতে ভালো লাগে না, দোকানে খাবার বার বার খেতে মন চায়। তাই নিজেকে ও পরিবারকে বাঁচতে যতটা সম্ভব এসব খাবার এড়িয়ে চলুন। সবাই সুস্থ থাকুন ।
আরও কিছু স্বাস্থ্য টিপসঃ
বর্তমান যুগে শিশুদের মানসিক বিকাশে ফাস্ট ফুড আসক্তি ৮০% দায়ী। সাধারণ খাদ্য গ্রহণে কারো আসক্তি সৃষ্টি হয় না। কিন্তু ফাস্ট ফুড তৈরিতে এমন কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে এর প্রতি শিশুরা আসক্ত হয়ে পড়ে ফলে শিশুর মারাত্মক শারীরিক ঝুঁকি তৈরী হয় । অভিভাবকরা আপনার শিশু ঘরের তৈরি খাবার খেতে অভ্যস্ত করুন ।
যারা কোমল পানীয় পান করে তাদের শরীর তারাতারি বুড়িয়ে যায় এবং দ্রুত বার্ধক্যে পরিনত হয়, হাড়ের ঘনত্ব কমে যায় । সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে এই মুহূর্ত থেকে সব ধরনের কোমল পানীয়কে না বলুন।
যারা ওজন কমাতে চান তারা কখনোই সকালের নাস্তা বাদ দিবেন না এতে করে শরীরের মেটাবলিসম এ গোলমাল শুরু হয় এবং সারাদিন আর ও বেশি খিদে পায়।
ধন্যবাদ সবাইকে।
পুষ্টিবিদ সুরাইয়া নাজনীন তুলি
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান
[…] […]