শেষ পর্যন্ত মা একজন রক্ত মাংসেরই মানুষ–এটাই সত্য ! বাবাও তাই !

মা রক্ত মাংসেরই মানুষ

 

শেষ পর্যন্ত মা একজন রক্ত মাংসেরই মানুষ—- এটাই সত্য ! বাবাও তাই !

মা রক্ত মাংসেরই মানুষ। মা বাবা মানেই কোন ফেরেস্তা বা দেব দেবী না। এটুকু পড়েই যারা আমাকে বকতে লাগবেন তাদেরকে বলছি সংবাদ পত্র পড়েন নিশ্চয়ই,টিভিও দেখা হয় তো?

তাহলে তো আপনি জানেন আমি একটুও মিথ্যে বলিনি।

নিয়মিতই সংবাদ শিরোনাম হচ্ছে মায়ের পরোকীয়ার বলী সন্তান।কখনো কখনো তো মা নিজে হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত। ভাবা যায় ? কতখানি হিংস্র এবং মনুষ্যত্বহীন হয়ে গেলে একজন মানুষ,একজন গর্ভধারিণী মা নিজের ঔরসজাত সন্তানকে নিজেই মেরে ফেলেছেন । কিছুদিন আগে তো এই রকম খবরও আমরা পড়েছি—- নিজের প্রেমিকের সাথে মেয়ে কে physical relation এ যেতে বাধ্য করেছেন মা নিজে।

বাবারাও পিছিয়ে নাই এসব মানসিক বিকৃতির ইস্যুতে।
কদিন পর পরই নিজ পিতা কর্তৃক নির্যাতনের শিকার শিশু কন্যার খবর দেখছি আমরা।

আমার বিশ্বাস —-এইসব বাবা মা আসলে হচ্ছে শুধুমাত্র জন্মদাতা এবং জন্মদাত্রি। বাবা মা কিছুতেই না। এরা নিজেদের বায়োলজিক্যাল নীড ফুলফীল করার জন্য সমাজ ধর্ম সাক্ষী রেখে বিয়ে নামক বহুল প্রচলিত প্রথার আড়ালে মূলত নিজেদের পশু সত্তাকে কিছু সময়ের জন্য লুকিয়ে রাখার অপচেষ্টা করে শুধু।
বহুগামীতা এদের স্বভাবে থাকে বহু আগে থেকেই। যথাযথ ফরেনসিক এক্সপার্ট দিয়ে হিস্ট্রি নিলে ঠিক বের হয়ে আসবে সত্যতা। আগে হোক পরে হোক এসব মানসিক বিকৃত সম্পন্ন নর নারীর আসল চেহারা এক সময় ঠিকই বের হয়ে আসে। কিন্তু ততদিনে দেখা যায় ঘর জুড়ে থাকে সন্তান। তখন এরা দিশেহারা হয়ে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে।
তবুও সমাজ ধর্ম সাক্ষী রেখে বিয়ে নামক সার্কাস থেকে বের হয়ে আসে না। স্বাভাবিকভাবেই তখন এরা এদিক ওদিক উঁকি ঝুঁকি মারতে শুরু করে। ফলশ্রুতিতে অবধারিত পরোকীয়া নামক মহামারীর আগমন ঘটে এদের সংসারে । আর যার বলী হচ্ছে দিনের পর দিন নিজ সন্তান।

আরে বাবা,
ধর্ম এবং সমাজ তো বিধান দিয়েছেই বনিবনা না হলে এবং আরো বেসিক কিছু প্রয়োজনে স্বামী স্ত্রীর সমস্যা হলে বিবাহ থেকে বের হয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার । তাহলে কেন অসুস্থ এবং অসম্পূর্ণ পারিবারিক সম্পর্ক দিনের পর দিন টেনে নিয়ে এই যে পরোকীয়া, নিজ সন্তান হত্যা,রেপ ইত্যাদি পাশবিক কর্মকাণ্ড ঘটাতে হবে ? শুধু কি তাই ? ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হয়ে কত শত নারী , কিছু সংখ্যক পুরুষ নিজ ঘরেই পরবাসী জীবন কাটাচ্ছে সমাজ কি তা জানে ?

অথচ লোকে কি বলবে, সমাজের ধিক্কার কিভাবে ফেইস করবে এসব ভাবনা ভেবে বহু নারী পুরুষ সব রকম ভাবে উপযুক্ত হবার পরেও অসুস্থ এক জীবন পার করে দিচ্ছেন।

আসলে সত্যটা হচ্ছে ডিভোর্স(যা ধর্ম এবং সমাজ সিদ্ধ) এই সমাজে মাথা ব্যাথার কারন হলেও স্বামী স্ত্রীর লেবাস পরে এক ছাদের নীচে কোলবালিশ মাঝে রেখে যোজন যোজন দূরত্বের এই স্বামী স্ত্রীরা দুজনেই অন্য নারী পুরুষে আসক্ত হলে সমাজ তাতে ভুরু কুঁচকে তাকায় না ।

#হিপোক্রেট_নষ্ট_এই_সমাজ

(মায়ের পরকীয়া জেনে ফেলায় সন্তানকে পুড়িয়ে হত্যা করল মা—-)


মিম্ মি

Related posts

Leave a Comment