অত্যাচার ছেলেদের উপরেও হয় !

অত্যাচার ছেলেদের উপরেও হয় ! স্বয়ং ছেলেরা এবং সমাজ তা স্বীকার করুক বা না করুক।সমস্যা হচ্ছে ওরা মেয়েদের মত ইমোশনাল হয়ে, কান্নাকাটি , হৈচৈ, নালিশ করে সবাইকে তা জানাতে পারে না। পৌরুষত্ব্যে আঘাত হানবে যে তাহলে। ‘নারী নির্যাতন’ যতটা সহজ ‘পুরুষ নির্যাতন’ ততটাই অ-সহজ,অবিশ্বাস্য এখনো। ছোটবেলা থেকেই আমাদের সমাজ আমাদের মাথায় এবং মনে কিছু অদ্ভুত ভাবনা চিন্তার বীজ বপন করে দেয় খুবই সূক্ষ্ম এবং সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— ছেলে মানুষদের কখনো কাঁদতে নেই। কান্নার একচ্ছত্র মালিকানা যেন শুধুই মেয়েদের। অথচ মেডিকেল সাইন্সে লেখাপড়া করে জেনেছি Lacrimal…

পরের অংশ

মেনোপজ/রজোনিবৃতি/রজোবন্ধঃ ব্যাপারটা কি? হলে করনীয় কি?

মেনোপজ

  মেনোপজ/রজোনিবৃতি/রজোবন্ধঃ ব্যাপারটা কি? হলে করনীয় কি?   আসুন আলাপ করি সবচেয়ে কম আলোচিত সমস্যা তথা মেনোপজ নিয়ে । কথা বলতে চেস্টা করছি মেডিকেলিও কঠিন কথা বাদ দিয়ে বুঝিয়ে বলতে ও আপনাদের ভয় দূর করতেঃ ডাক্তারি সংজ্ঞা অনুযায়ী , ‘অবিরত ১২ মাস বা তারো বেশি সময়ের জন্যে সাময়িক বা সম্পূর্ণরূপে মাসিক ঋতুচক্র বন্ধ থাকাকেই মেনোপজ বলে ‘। সাময়িক ভাবে বন্ধ প্রেগন্যান্সির কারণেও থাকে, কাজেই বুঝতেই পারছেন ব্যাপারটা আসলে অত ভয়াবহ কিছুই না। হওয়ার বয়সঃ সাধারনত ৪৫ বছর থেকে ৫৫ বছর। কিন্তু ৪০ বছরেও হতে পারে আবার ৬০ বছর বয়সেও হতে পারে…

পরের অংশ

মাসিক বা স্বপ্নদোষ দোষের কিছু নয়

মাসিক বা স্বপ্নদোষ

মাসিক বা স্বপ্নদোষ   মাসিক বা স্বপ্নদোষ হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ পৃথিবীর সমস্ত ছেলে মেয়ের জন্য একটা ফিজিওলজিক্যাল ব্যাপার। প্যাথলজিক্যাল ব্যাপার কিন্তু নয় মোটেই। মেডিকেলের ভাষায় ফিজিওলজিক্যাল মানে হচ্ছে মানব শরীরের স্বাভাবিক কোন বিষয় আর প্যাথলজিক্যাল মানে হচ্ছে শরীরের অসুস্থ অবস্থা। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে নারী পুরুষের খুব স্বাভাবিক এই শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনকে আমাদের দেশে কেন যেন সহজ ভাবে গ্রহণ করা হয় না। বরং পিরিয়ড কে নিয়ে “ইস্যু” তৈরি করা হয়। স্বপ্নদোষকে বানানো হয় রাস্তা ঘাটে ক্যানভাসারদের বানিজ্যের পসরার রসদ। স্কুল কলেজে পাঠ্যপুস্তকে এই টপিক থাকলেও কেন যেন সেসব চ্যাপ্টার…

পরের অংশ

কাউন্সেলিং কি ? কাউন্সেলিং কিভাবে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে? 

কাউন্সেলিং-

  কাউন্সেলিং কি ? কাউন্সেলিং কিভাবে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে? কাউন্সেলিং ? আধুনিক জীবন-যাপন প্রণালী অনেক চাপ পূর্ণ ও জটিল অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। আমরা সবাই আজ কোন না কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন থাকি। এমন কাউকে হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না যে একবারও না বলেছে যে “আমি আর পারছি না।” অথবা আমি বুঝতেছি না কোন পথে যাবো বা কি করবো? সমস্যার মুখোমুখি হওয়া ও সমাধান করা খুবই কষ্টকর এবং আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষেরই তা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কম। আমরা এড়িয়ে যাবার ভান করি এবং আশা করি সমস্যা গুলো চলে…

পরের অংশ

কন্টাক্ট লেন্স: ফ্যাশন নয় শুধু, প্রয়োজনও

ফ্যাশনের যুগে বহু মানুষের পছন্দের চাহিদা কন্ট্যাক্ট লেন্স। চশমার বিকল্প হিসেবে আজকাল কন্ট্যাক্ট লেন্স বেশ জনপ্রিয়। যারা চশমা পরতে চান না তারা পাওয়ারযুক্ত কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করতে পারেন। এখন মহিলারা তাদের চোখের রংও বদলে ফেলে পছন্দ মতো রং এর চোখ বানিয়ে নিচ্ছেন। এটাকে কালার কন্টাক্ট লেন্স বলা হয়। চোখের ভেতরে একটা পাতলা প্লাস্টিকের রঙিন আবরন যা দেখতে ঠিক চোখের মতো, তা স্থাপন করে নিজেদের ইচ্ছেমতো রঙের চোখ পেতে পারেন।কন্টাক্ট লেন্স সাধারণত তিন ধরনের হয় হার্ড,আরজিপি ও সফট কন্টাক্ট । ব্যবহার বিধি কন্টাক্ট লেন্স নিয়মিত নির্দিষ্ট সলিউশন বা তরল দিয়ে পরিষ্কার…

পরের অংশ

যে পুরুষ ক্যারিয়ারিস্টিক হয় সে প্যারেন্টিংও এক্সপার্ট হয়

অফিসের দুজন মেইল কলিগকে বিশেষ পছন্দ আমার।ক্রাশ খাই খাই অবস্থা আর কি। অল্পের জন্য নিজেকে আটকে রেখেছি বলতে গেলে। দুজনের উপরে একসাথে ক্রাশ খাওয়াটা কেমন যেন ছোঁচা ছোঁচা হয়ে যেত।আবার একজনকে রেখে আরেকজনের উপরে ক্রাশ খেতে ইচ্ছে করল না। ধরা যাক ওদের দেশ ইউরোপের কোথাও। (আসল পরিচয় বলা যাচ্ছে না) বাংলাদেশে জব করছেন চার বছর ধরে। কলিগ হিসেবে তাদের সাথে আমাকে সরাসরি কোন কাজ করতে হয় না।ওনার আমাদের এখানে টিচিং ফ্যাকাল্টি আর আমি মেডিকেল ফ্যাকাল্টি। কেবল মাত্র ওরা অসুস্থ হলেই ওদের সাথে আমার যোগাযোগ হয়।তবে আমরা সবাই ক্যাম্পাসে রেসিডেন্ট বলে…

পরের অংশ

ধর্ষণ ঠেকাতে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এর ভুমিকা (আরও একটি নিস্ফল আস্ফালন ?)

অনলাইন ভিত্তিক নিষ্ফল আস্ফালন নির্ভর না হয়ে আসুন কিছু কাজ করি। বিচারহীনতায় আক্রান্ত ধর্ষক বান্ধব দেশ কে নারীর জন্য প্রচন্ড অনিরাপদ বোধ করি বলেই ভবিষ্যৎ কে মোকাবেলার মত করেই প্রতিটা কন্যা শিশু গড়ে উঠুক এটাই চাই।ধর্ষন এর প্রতিরোধ ও বিচার নিশ্চিতকরন চাইবার পাশাপাশি একজন ব্যক্তি বা একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এর ভূমিকা কি হতে পারে? (আমি সংগঠক হিসেবে ভাল না। তবে চাইব ইচ্ছুক মননশীল মানুষরা মিলে অনলাইনে একটি শক্ত মঞ্চ গড়ে তুলুন) এক্ষেত্রে কিছু চিন্তা প্রস্তাবনা আছে– ১.শিশুকাল থেকে বয়সবান্ধব সেক্সুয়াল এওয়ারনেস ইম্পল্যান্ট করা। নিজের শরীর… শারিরীক প্রক্রিয়াগুলোকে ন্যাচারাল ভাবতে শেখানো।…

পরের অংশ

শিশুদের ডায়াবেটিস

শিশুদের ডায়াবেটিস

  অনেকেই মনে করেন ডায়াবেটিস শুধু বড়দেরই রোগ। কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। শিশুদের ডায়াবেটিস। বিশ্বজুড়ে ১৫ বছরের নিচে ৭০ হাজার শিশুর প্রতি বছর টাইপ-১ ডায়াবেটিস হচ্ছে। ১৪ বছরের নিচে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাইপ-১ শিশুর মধ্যে ২৫ শতাংশ রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। শিশুদের মধ্যে টাইপ-২ ডায়াবেটিস আগামী ১৫ বছরে ৫০ শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অনেক সময় বাচ্চাদের ডায়াবেটিসে কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়না কিংবা মা বাবারা ব্যপারটি খেয়ালই করেন না,তাই বাচ্চাদের একটি বড় অংশ প্রথম অবস্থাতেই খিচুনি,পেট ব্যথা,পানি শূন্যতা এবং অজ্ঞান হয়ে অর্থাৎ কিটো এসিডসিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়…

পরের অংশ

খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক ধর্মের নির্দেশনা

বেঁচে থাকার জন্য খাবার প্রয়োজন নাকি খাবারের জন্য বেঁচে থাকা? আমরা অনেকেই যেভাবে খাই তাতে মনে হয় যেন খাওয়ার জন্যই আমরা বাঁচি। শুধুমাত্র খাওয়াই জীবনের একমাত্র কাজ। এর ফলে শারীরিক ভাবে অসুস্থতা তৈরি হয়, হয় বিভিন্ন জটিল ব্যাধি। তা ছাড়া আমাদের সব ধর্মেও কম খাবারের কথা বলা হয়েছে। আসুন আমরা জেনে নেই খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ক ধর্মের নির্দেশনা কি। এক বুজুর্গ ব্যাক্তির আগমন চেম্বারে, উচ্চতা অনুসারে ওজন হয় ৭৪ কেজি । ওনার ওজন ৯৮ কেজি । ২৪ কেজি বেশী মাত্র । খাবার যা মেনু শুনলাম তা শুনে আামার চোখ চরখ…

পরের অংশ

কর্মক্ষেত্রে সুস্থ থাকার সহজ উপায়

একটা কোম্পানীর বা প্রতিষ্ঠানের সাফল্য নির্ভর করে তার কর্মকর্তাদের উপর। আর কর্মকর্তাদের সুস্থতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। কর্মক্ষেত্রে সুস্থ থাকতে হলে, প্রথমে জানতে হবে সুস্থ থাকার নিয়মাবলী এবং বিভিন্ন রোগ জীবাণু থেকে নিজেকে রক্ষা করার উপায়। বড় বড় অফিস আদালতের কর্মকর্তাদের সাধারনত যে শারীরিক সমস্যাগুলো দেখা যায় তা হলোঃ-  ঘাড়ে এবং কোমরে/মাজায় ব্যথা,  চোখে ব্যথা,  মাথা ব্যথা,  ক্লান্তিভাব  দুশ্চিন্তা,  মানসিক অস্থিরতা,  পারিবারিক এবং চাকরি জীবনে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা। শরীর যদি সুস্থ থাকে তাহলেই একমাত্র সম্ভব কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সাফল্য অর্জন করা। নিম্নলিখিত…

পরের অংশ