সবার মাকে নিয়ে বলা কথা ছবি দেখতে কি যে ভালো লাগছে….
অনেকে আবার এতো ‘মা… মা’ ব্যাপার আদিখ্যেতা মনে করছেন দেখলাম।
রীতিটা এ দেশীয় নয় বুৎপত্তিগতভাবে,যে দেশীয় সেখানে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
ওখানে ঘরে শিশু হাস্পাতাল থেকে ঢুকেই দোলনায় আলাদা থাকে আর বাকি জীবনটাও তাই,কাজেই কাছাকাছি আসার জন্য ওদের অনেক উপলক্ষ দরকার।
আমার কাছে শিশুর মানসিকভাবে সাবলম্বী হবার জন্য আলাদা করে দেয়াটা পজিটিভ লাগে,তবে অত ছোটবেলা থেকে নয়। শিশু বয়স থেকে চিন্তাচেতনায় ধীরেধীরে স্বাধীনতা দিয়ে,তারপর একা থাকতে দেয়ার অভ্যাস জরুরী বলেই আমি মনে করি।
আমাদের দেশীয় মানুষেরা আমরা ইমোশনাল ভাবে একটু পরনির্ভর,
নতুন হোস্টেল থেকে চাকুরীর জায়গা….. সম্পর্কের শেষ থেকে নতুন জীবন।
এ না হলে হয়তো struggle আরো কম struggling হত আমাদের জন্য।
আর এ জন্যেই পাশ্চাত্যের পিতামাতাকূল বয়স হলে নিজেরা গুছিয়ে থাকা বা সন্তান থেকে দূরে থাকবার সময়ে আমাদের মত অত,
“ভাবী ছেলে তো আপনাকে দেখতেই আসেনা” বা
“মেয়ে কি আর খোঁজ নিবে?” বা “আমি দেশের বাইরে কোথাও যেতে পারবোনা” জাতীয় আলাপ ওদের কম আমাদের চেয়ে।
তার মানে দাঁড়ালো আমি পাশ্চাত্যরীতি পছন্দ করি?
করি, তবে ভালো জিনিসগুলোর ব্যাপারে।
কত সময়েই তো বলি আমরা,”জালায়ো না তো মা”
একদিন কার্ড দিলে বা “মা তোমাকে ভালোবাসি” বললে কি এমন’আদিখ্যেতা” হয়ে যাবে!!!
আমরা একসাথে থেকেও কি কখনওই মানসিক দূরত্ব তৈরি করিনা?
একদিনেই সমুদ্রপার হয়তো দেয়া যাবেনা, কিন্তু দূরত্বের ক্ষতে কিছু তো মলম পরবে!
ইন ফ্যাক্ট আমাদের দেশের মায়েরা যেহেতু ৭০% সময় রান্নাঘরে কাটান,সেদিন নিজে রেঁধে বা বাইরে থেকে খাবার এনে খাওয়ানো যেতে পারে। যারা স্টুডেন্ট তারা পকেটমানি দিয়ে মায়ের পছন্দের খাবার এনে খাওয়াতে পারেন বা শখের কোন জিনিস এনে দিতে পারেন, তা সেলাইর সুতো থেকে ফ্রাইংপ্যান বা কুশনকভার যে কোন কিছুই হতে পারে।
মাকে পার্লারে একটা হেড ম্যাসাজের টাকা দিতে পারেন 🙂
যেকোন রীতিরই যেকোন ভালো জিনিসটা নিতে শিখলে আর অবশ্যই তাকে নিজেদের সামাজিক প্রথার সাথে মিশিয়ে নিলে (blend/ remixed অর্থে) ভালোই হবে,
এ আমার মনে হয়।
আর অন্য কেউ কি করছে সেটা নিয়ে বিরক্তিপ্রকাশ না করলে আরো ভালো হয় 😉
মাথা ঘামানোর জন্য নিজের কল্লার উপরে গোল মত যে জিনিসটা আছে,সেটা নিয়েই ঘামানো ভালো 🙂
পুনশ্চ: চালু মিমের ছবির মত স্ট্যাটাস দিতে দিতে মাকে অবহেলাকারীর জন্য এই স্ট্যাটাস প্রযোজ্য নয় 😉
#তুলির_কথারঝুলি
#মাTheBoss
ছবি : ডা তুলি সংগিতা ও তাঁর মা ও তাঁর সন্তান