ধর্ষণ, পুরুষ ও আমরা :
(ধর্ষণ ও সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্ট অপরাধগুলোর প্রকটতা, প্রতিকার ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সমাজের সর্বস্তরে সচেতনতা প্রতিষ্ঠা এবং “এক দফা, এক দাবি
ধর্ষকের দ্রুত বিচার, দ্রুত ফাঁসি” নিশ্চিতের লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন “#হোকপ্রতিরোধ”।।
এ আন্দোলনের সোশাল মিডিয়া গ্রুপের পোর্টাল থেকে – stand against Rape – হোক প্রতিরোধ)
দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ তোলপাড়।টাইম লাইনে ছবিতে ছেয়ে যাচ্ছে বিউটিদের নিথর দেহের। অবশ্য দেখার বিষয়, এই তোলপাড় টা ঠিক কতোটা সময় ধরে আমাদের ভিতর টা কে আন্দোলিত করছে,নাকি স্ট্যাটাসের মধ্যেই সীমিত থাকছে।’ধর্ষণ’এর থেকে জঘন্য কোন পাপ আমার চিন্তার সীমার মধ্যে আসে না।কয়েক মিনিটের উল্লাস করে যে নারী দেহ থেকে প্রান কেড়ে নিচ্ছে অথবা ভাগ্য গুনে যে প্রানে বেঁচে ধীরেধীরে শরীরের ক্ষত সারিয়ে উঠেছে কিন্তু অমানবিক মানুষিক যন্ত্রণায় প্রতিটি সেকেন্ড তাকে যে দহনের সাথে বাঁচতে হবে সেই যন্ত্রণা বোধ করি পৃথিবীতে সে ছাড়া দ্বিতীয় কোন মানুষের বুঝবার ক্ষমতা নেই।
মুসলিম প্রধান দেশ আমাদের, ধর্মীয় সঠিক বোধ থাকুক চাই না থাকুক “পর্দা” ব্যাপার টা সবাই খুব ভালো বোঝে।আমার জানা মতে পৃথিবীতে এমন কোন ধর্মীয় গ্রন্থ নেই যেখানে নারী ও পুরুষের মানুষিক,শারীরিক পর্দার বিধান নেই।পৃথিবীতে এমন কোন ধর্মীয় গ্রন্থ নেই যেখানে বলে দেওয়া আছে – যাও যে নারী বেপর্দা তাঁর আব্রু নিয়ে খেলা করো। যাও তাকে ধর্ষণ করো। পবিত্র কোরআন সকল মানবজাতির জন্য পরিপূর্ণ জীবন বিধান। যারা কিছুটা হলেও ধর্মীয় চর্চা করেছেন তারা জানেন ‘বেদ’ অনুযায়ী পর্দার অনুশাসন কতটা কঠোর।তাই জন্ম সুত্রে মুসলিম দের বলতে চাই, মুসলিম হওয়ার গুনাবলি অর্জন করুন।
এবার আসি আমার একান্ত অভিমতের কথায়, কোন ধর্ষক ই একদিনে তৈরি হয় না। এটা আমি বিশ্বাস করি না।সেই ছোট্ট বেলা থেকে এদেরকে মানুষ চিনানো হয় না, চিনানো হয় মেয়ে মানুষ।ছোট্ট শিশুর অশ্লীল কোন কথা অনেকের কাছে হাসির খোঁড়াক,বড় হলে শুধরে যাবে এমন টা ভাবা অবান্তর।আপনারা কি জানেনে ২/৩ বছর বয়সী কোন শিশু মানুষিক ভাবে অনেকাংশেই পরিপক্ক।এগুলো পারিবারিক ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব,মানবিক চেতনার অভাব হতে সৃষ্টি।
এইবার আমার প্রশ্ন জ্ঞানী সমাজের প্রতি- আচ্ছা আজ সারাদিনের আপনার আলোচনায় কতবার যৌনতা মিশ্রিত কথা ছিল, হোক সেটা মজার ছলেই। ঠিক কতবার আপনি আপনার কর্মক্ষেত্রে বা চলার পথে নিজের দৃষ্টি সংযত রেখেছেন? সুন্দরী কোন মেয়ে কে মাল! জটিল! বোল্ড! সেক্সি!জোস!বলা কত বছর আগে ছেড়েছেন?আচ্ছা শেষ কবে পর্ণ দেখা ছেড়েছেন মনে আছে আপনার? আচ্ছা রমজান মাস এলে কোন মেয়ের রোজা না রাখার কারণ জেনেও কেন রোজা রাখনি জিজ্ঞেস করে শেষ কবে পৈশাচিক আনন্দ পাওয়া থেকে বিরত থেকেছেন?আপনার মা ঋতুবতী হয়েছিলো বলেই আপনি আজ পৃথিবীর আলোতে এভাবে দাপিয়ে বেরাচ্ছেন,আর ঋতুবতী কোন বন্ধুকে সম্বোধন করছেন বুলবুলি পাখি হিসেবে।ভেবে দেখেন মানুষিক ধর্ষণে আপনি ঠিক কতটা পিছিয়ে আছেন। আজ যেই ওড়না ধরে টান দিচ্ছেন বা বেখেয়ালিতে সরে যাওয়া ওড়নার কারনে পুলকিত হচ্ছেন জানেন সেই ওড়না দিয়ে ঢেকেই না আপনার মা পরম আদরে আপনার ক্ষুদা নিবারণ করেছেন।আচ্ছা এই যে ধর্ম, পর্দা নিয়ে লাফাচ্ছেন বলতে পারেন নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওই রাস্তার মোড়ে থাকা পাগলী টা কোন ধর্ম মতে পর্দা করবে? বলবেন এগুলো বিকৃত মানুসিকতা।তাহলে বলবো ভিড়ের মাঝে পরে যাওয়া কোন মেয়েকে জিজ্ঞেস করে দেখবেন ওর শরীরের কোন অংশ অস্পৃশ্য ছিল।কারন টা আপনি ও জানেন আমি ও জানি। ভিড়ের মাঝে এতো মানুষের চেহারা যে মনে রাখা যায় না।অন্ধকারে বাতি নিভালে নিজের চেহারা টা কে একটু চিনে নিবেন।
ফেসবুকে উথাল পাথাল কাব্যিক সুনাগরিক না হয়ে যদি পারেন ধর্মের দোহাই ছেড়ে মন খুলে মানুষ হন।প্রতিটা মেয়েই কিন্তু “মা”।প্রতিদিন পুরুষ আপনি একটু একটু করে মানুষ হন।প্রতিদিন বাসে,রাস্তায়,নিজ এলাকায় একটু একটু করে মেয়েদের অসম্মানের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।প্রতিবাদ করুন সামনে থেকে।লাথি মেরে ভেঙ্গে দিন কোমরের নিম্নাংশ ওই সকল পশুদের।আমাদের দেশে সার্টিফিকেট ধারী কোন বড় নেতার এখন প্রয়োজন নেই।প্রয়োজন পরিচ্ছন্ন মানুষিকতার মানুষ।
সুরভী আলম
#হোকপ্রতিরোধ
[…] বুঝাতে হবে, বিয়ের আগে শারীরিক মেলামেশা হারাম। কোনো মেয়ের দিকে খারাপ […]